
.png)

পুতিনের দিল্লি সফর মূলত বাস্তববাদী স্বার্থের প্রতিফলন। ভারতের জন্য এটি প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সুযোগ, আর রাশিয়ার জন্য অর্থনৈতিক সহায়তার পথ অব্যাহত রাখার উপায়। যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের মধ্যেও দুই দেশ তাদের সম্পর্ক ধরে রাখছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়াদিল্লিতে একদিনের শীর্ষ বৈঠক শুরু করেছেন। আলোচনায় বাণিজ্য বাড়ানো ও ইউক্রেন যুদ্ধ–সম্পর্কিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রধানভাবে উঠে আসবে। ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর পুতিনের এটি প্রথম ভারত সফর।

ইউক্রেন ইস্যুতে একটি শান্তি চুক্তি করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টানা পাঁচ ঘণ্টা আলোচনা করেছেন। তাতেও কোনো ধরনের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশের আলোচকরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি সুনির্দিষ্ট শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে, যা কিয়েভ এবং পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক ও গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই প্রস্তাবের মূল ভিত্তি হলো যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ইউক্রেনকে তার সার্বভৌম ভূখণ্ডের উল্লেখযোগ্য অংশ, বিশেষত

ইউক্রেন কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের দুটি তেলবাহী ট্যাংকারে নৌ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। ট্যাংকার দুটির নাম ‘কাইরোস’ ও ‘ভিরাট’। তারা গাম্বিয়ার পতাকাবাহী এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। হামলার সময় তারা নোভোরোসিস্ক বন্দরের পথে ছিল। হামলায় জাহাজে আগুন লাগে ও বড় ধরনের ক্ষতি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া ইউরোপের অন্য কোনো দেশে আক্রমণ করবে না, এ বিষয়ে তিনি লিখিতভাবে নিশ্চয়তা দিতে প্রস্তুত। তাঁর দাবি, মস্কো ইউরোপ আক্রমণের পরিকল্পনা করছে, এই অভিযোগ ‘মিথ্যা’, ‘অমূলক’ এবং ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শান্তি প্রস্তাব এবং ইউক্রেনের জন্য দেওয়া কঠোর আলটিমেটাম এমন সময়ে এসেছে, যখন পরিস্থিতি সবচেয়ে প্রতিকূল। রুশ সেনা, ড্রোন এবং কুয়াশা তৈরিকারী রোবট দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রন্টলাইন ভেদ করেছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন যৌথভাবে একটি সংশোধিত শান্তি কাঠামো ঘোষণা করেছে। এর লক্ষ্য চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি নিশ্চিত করা। এই ঘোষণা জেনেভায় হওয়া নিবিড় কূটনৈতিক আলোচনার পর আসে।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শান্তিচুক্তিতে রাজি হতে চাপ দেওয়া হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র তার ন্যাটো মিত্রদের জানিয়েছে। কিয়েভ এখনই শান্তিচুক্তিতে সই না করলে ভবিষ্যতে আরও কঠিন শর্তের মুখে পড়তে হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন যে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে প্রস্তুত। ফাঁস হওয়া ওই খসড়া পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউক্রেনকে পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক অঞ্চলে এখনো যে এলাকাগুলো তারা নিয়ন্ত্রণ করে সেগুলোর একটি বড় অংশ ছেড়ে দিতে হবে।

প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানি (পিএমসি) এখন আধুনিক যুদ্ধের অপরিহার্য উপাদান। রাষ্ট্রের জবাবদিহি এড়িয়ে, করপোরেট শক্তির ছায়ায় এই সংস্থাগুলো আজ যুদ্ধের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রযুক্তিনির্ভর ও গোপন এই নতুন যুদ্ধের ধরনে লাভের হিসাব মানবিকতার চেয়েও বড় হয়ে উঠেছে। যুদ্ধ এখন শুধু রণাঙ্গনে নয়, করপোরেট চুক্তি।

বিশ্ব বাজার থেকে রাশিয়ান ‘তেল ও গ্যাস সরানোর প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছে বিশ্বের ২০টির বেশি দেশ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে চাপের অংশ হিসেবে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানাতে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশগুলো।

যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রোসনেফট ও লুকঅয়েল-এর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণা ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন সূচিত করেছে।

রুশ তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুটি বৃহত্তম তেল কোম্পানি—রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম প্রায় ৫ শতাংশ বেড়ে গেছে।

কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, বাংলাদেশি যুবকরা নিজেদের ‘বীরত্ব’ নিয়ে গর্ব করছে। এসব দৃশ্য বাংলাদেশে উদ্বেগ তৈরি করেছে এবং প্রশ্ন তুলেছে—এরা কি স্বেচ্ছায় যুদ্ধ করছে, নাকি জোরপূর্বক প্রচারণার অংশ?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে বৈঠকের সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। মঙ্গলবার ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ‘বর্তমান সীমান্তে স্থগিত’ রাখার আহ্বান